সখিপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখিপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলীর অনশন কর্মসূচীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার ৩ সেপ্টেম্বর সকালে সখিপুর প্রেসক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলীর আমরণ অনশন কর্মসূচীর প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সখিপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম আমজাদ হোসেন বিএসসি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- সখিপুর পৌরসভার ২ নং ওয়র্ডের বাসিন্দা হাসিনা আক্তার- পিতা হাসমত আলী সাং মুজিব কলেজ মোড় সখিপুর, টাঙ্গাইল। সে দীর্ঘ দিন যাবৎ অন্য এলাকা থেকে মেয়ে নিয়ে এসে তার বাসায় রেখে অনৈতিক ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। এমতাবস্থায় দুটি মেয়েকে দিয়ে হাতে নাতে ধরা পরে। এক পর্যায়ে হাসিনা আক্তার পালিয়ে যায়। তার বাবা হাসমত আলী এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে যান। তার মেয়েকে অনৈতিক কার্যকলাপের কথা স্বীকার করেন। তারপর পর এলাকা বাসি একটি শালিশের আয়োজন করে। উক্ত শালিসে হাসিনা আক্তার সমস্ত অপকর্মের কথা স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এ রকম কোন প্রকার কার্যকলাপ করব না বলে অঙ্গীকার নামা দেয়। পরে বিষয়টি সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদকে জানালে তিনি বার বার মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তার পর হাসিনা ও তোরাব আলী এলাকা বাসির নামে পর পর ৬টি মামলা করে। উক্ত মামলা গুলোতে আসামী করা হয় প্রায় ৫০/৬০ জন এলাকা বাসিকে। এরা প্রত্যেকেই এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। হাসিনা ও তোরাব আলীর অনৈতিক কার্যকলাপ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে এলাকা বাসি গত ২৬/১০/২০২১ ইং তারিখে সরকারি মুজিব কলেজ মোড়ে পূর্ব সখীপুরের সকল নাগরিক একটি বিশাল মানব বন্ধন করে। মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম আমজাদ হোসেন বি.এস.সি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সখিপুর উপজেলা। আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকছেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনহাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর তারেক, ১ নং ও ২ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলরসহ প্রায় এক হাজার নারী পুরুষ। প্রত্যেকে হাসিনা ও তোরাব আলীর অনৈতিক কার্যকলাপ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানায়। মামলা গুলো তদন্ত হয় এবং প্রত্যেকটি মামলা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রমানিত হয়। তিনি অনশনে এসে প্রেস ক্লাবের সামনে যে বক্তব্য রেখেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা সাংবাদিক ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রাখতে চাই আপনারা আসুন সরজমিনে তদন্ত করুন। জনাব তোরাব আলী বার বার অনশনে বলেছেন তাকে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট, সামাজিক শৃংখলা ভঙ্গের কারনে তার সামাজিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। সে শুক্রবারে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে ও নিয়মিত দোকানপাটে কেনা কাটা করে। অনশন করে মাননীয় সংসদ সদস্য ও সখিপুর পৌরসভার মেয়র কে নিয়ে যে আপত্তিকর কথা বলেছেন তা রাজনৈক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। মাননীয় সংসদ সদস্য এর মেয়ের জামাতা মোঃ শেখ ফরিদ ও এস.এম আমজাদ বি.এস সাহেবের ছেলে এস.এম নুরুজ্জামান সোহেল এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এলাকা বাসি তোরাব আলী ও তার তিন কন্যার অপকর্মে অতিষ্ঠ। তোরাব আলী মুক্তিযোদ্ধার দোহাই দিয়ে এমন কোন অপকর্ম নাই যে তিনি ও তার মেয়েরা করে না। তার আপন শ্যালক ও শালিকার জমি জোর পূর্বক দখল করে ভোগদখল করিতেছে। তোরাব আলী ও তার মেয়েদের ভয়ে তার আত্মীয় স্বজন আতংকের মধ্যে দিন যাপন করিতেছে।
আমরা পূর্ব সখিপুরের মানুষ এই একটি পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। আমরা এই পরিবারের কবল থেকে মুক্তি চাই। এসময় যুদ্ধচালাকালীন কমান্ডার আ. মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলী, পৌর কাউন্সিলর ফজলুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ছালাম সিকদার, সোহেল রানাসহ ওই সমাজবাসীর শতাধিক সদস্য সখিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল গফুর, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত লতিফসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল-৫টায় বঙ্গবীর কাদের ছিদ্দিকী বীরউত্তম বিষয়টি উপরোক্ত বিষয়টি অবগত হয়ে সখিপুরের ঐ এলাকায় কলেজ মোড়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। উভয় দুপক্ষের কথা শুনেন এবং স্থানীয় মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি সুষ্ঠু মিমাংসার ভার দিয়ে চলে যান।সরকার লাল মিয়া, সাবেক প্রচার সম্পাদক আশিক জাহাঙ্গীর, এম এ সবুর,আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply