সখিপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের সখিপুরে মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী ও তার পরিবারকে এক ঘরে করে রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। ওই বীরমুক্তিযোদ্ধা পৌর আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য। স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের মেয়ের জামাতা, মুজিব কলেজ মোড় মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলায় ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষী দেওয়ার পর থেকে পরিবারিটিকে তারা একঘরে করে রাখে।
ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী বলেন, ৯ মাস পূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের এর মেয়ের জামাতা, মুজিব কলেজ মোড় মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেলসহ কয়েকজন স্থানীয় বখাটে হাসিনা আক্তার নামে এক নারীর ঘর ভাংচুর ও নির্যাতন করার মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত কালে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী দিলে ফরিদ ও তার বাহিনী মিলে তার ও পরিবারের উপর হামলা চালায়। পরে ৯৯৯ ফোন করলে থানা পুলিশের সহায়তায় গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয় । পরে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় টাঙ্গাইল আদালতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে (সিআর ৪৪২) মামলা করেন ওই মুক্তিযোদ্ধা । এর পর থেকেই গত নয় মাস ধরে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রান বীরমুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী ও তার পরিবারকে একঘরে করে রাখেন। কোরবানির ঈদে আমাকে সমাজের গোশতও দেওয়া হয় নাই। এলাকায় কারো সাথে কথা বলতে দেয় না। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা না দিতেন তাহলে আমার পরিবার না খেয়ে মরতে হতো। মাননীয় এমপি মহোদয়, পৌরমেয়র ও সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে বারবার বিচার চেয়েছি কোন প্রতিকার পাইনি। বাধ্য হইয়া আজ আমার পরিবারকে নিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছি।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি পৌরমেয়রকে জানানো হয়েছে। আশা করছি এর একটি সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের মেয়ের জামাতা মুজিব কলেজ মোড় মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ বলেন, ওই বীরমুক্তিযোদ্ধার সকল অভিযোগ মিথ্যা। তাঁকে একঘরে করে রাখা হয়েছে বিষয়টি সত্য নয়। সমাজের একাধিক ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা করায় সমাজবাসী তাকে সমাজচ্যুত করেছেন।
পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ বলেন, ওই মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি সমাধান করা হবে।
Leave a Reply