বঙ্গবন্ধু সেতু

৩ দিনে টোল ৯ কোটি টাকা!

ঈদের আগের তিন দিন বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে এক লাখ ২০ হাজার ৩৫০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০ টাকা।

১৯৯৮ সালে সেতু চালু হওয়ার পর গত বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে। ওইদিন তিন কোটি ৩৪ লাখ সাত হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়।

স্বাভাবিক সময়ে ২০/২১ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। কিন্তু ঈদের মধ্যে পারাপার হয় কয়েকগুন বেশি যানবাহন।

সূত্র জানায়, বুধবার রাত থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন সেতু পার হয়। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন ছিলো ২৫ হাজার ১১৩টি। আর ঢাকাগামী যানবাহন ছিলো ১৮ হাজার ৪৮২টি।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮১৭টি যানবাহন পার হয়। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৭২টি যানবাহন উত্তরবঙ্গের দিকে এবং ১২ হাজার ৮৭৮টি যানবাহন ঢাকার দিকে যায়। ওইদিন টোল আদায় হয় ৩ কোটি নয় লাখ ছয় হাজার ৫০ টাকা।

সর্বশেষ শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ঈদের আগের দিন শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৯৩৮টি যানবাহন পার হয়। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৪৩৫টি উত্তরবঙ্গের দিকে এবং ১০ হাজার ৫০৩টি ঢাকার দিকে পার হয়। টোল আদায় হয় দুই কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫০ টাকা।

শনিবার রাত থেকে যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করে। আজ রবিবার ঈদের দিন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম যানবাহন পার হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পি জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় ১১টি বুথ দিয়ে এবং পশ্চিম পাড়ে ৯টি লেনের বুথ থেকে টোল আদায় করা হয়েছে।

এদিকে এবারের ঈদে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও যান বিকল হওয়ায় মহাসড়কের যানজট ধীরগতির সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে যানজট রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার ছড়িয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। রোদে পুড়ে বাস ট্রাক ও পিকআপের ছাদে করেও বাড়ি গেছেন। কিন্তু গত ঈদুল ফিতরে মানুষ একেবারে জট ছাড়াই স্বস্তিতে বাড়ি যান। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এ পথ দিয়ে ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে।