কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ১৮টি দোকান পুড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার পারখী ইউনিয়নের বর্গা বাজারে শনিবার রাত ১টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের এবং কালিহাতী ও সখীপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সাড়ে তিন ঘন্টার প্রচেষ্টায় ভোর সাড়ে চারটায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় ১৪জন ব্যবসায়ীর সিমেন্ট, টিন, বস্ত্রালয়, মনোহারী, কসমেটিক্স, জুতা, ফার্মেসী, সেনেটারী, ব্রয়লার মুরগী ও চায়ের দোকানসহ মোট ১৮টি দোকান পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়। আজ রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মো. কামরুল হাসান উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সবুজ ও খন্দকার মনির জানান, রাত সোয়া ১টার দিকে বাজারের পশ্চিম পাশে নদীর পূর্বপাড়ের দুটি দোকানে আগুন দেখতে পান। মুহুর্তের মধ্যেই তা একই সারির বেশ কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। কালিহাতী ও সখিপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলেও প্রায় দুই ঘন্টা পর তারা এসে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। বর্গা বাজারের ইতিহাসে এতো বড় আগুন আর কখনও লাগেনি। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পাঁচটি সেতুর পুনঃনির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিও জানান তাঁরা। ক্ষতিগ্রস্ত চা ও পোল্ট্রি দোকানি আব্দুর রাজ্জাক ও এবং সিমেন্ট, টিন ও মনোহারি দোকানি আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, এই আগুনে দোকানসহ সকল মালামালের সাথে কপালও পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম রাব্বানি রাজিব বলেন, ঈদের আগের রাতে এতো বড় দুর্ঘটনায় ব্যবসায়িরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তাঁদের ঈদ বিবর্ণ হয়ে গেছে। এতে মালামাল ও স্থাপনাসহ প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতিতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িদেরকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট দাবি জানান। কালিহাতী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রধান সড়কে পাঁচটি সেতুর পুনঃনির্মাণ কাজ চলায় প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প গ্রামীন বেহাল সড়ক হয়ে যেতে আমাদের সময় লেগেছে। এছাড়াও আমরা অন্য আরেকটি দুর্ঘটনাস্থলে অগ্নি নির্বাপণের সময় খবর পাই, সেটি শেষ করে আমাদেরকে রওনা করেতে হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে প্রথমে সরকার বস্ত্রালয় ও হাবিব সু স্টোরে আগুন লাগে। স্থানীয়দের এবং সখিপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটিসহ তিনটি ইউনিটের সাড়ে তিন ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হুসেইন বলেন, জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply