নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় বন বিভাগের বিট কার্যালয় থেকে হাতকড়াসহ আসামির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার তিন ঘণ্টা পর হাতকড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা তিনটায় উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রাম থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করা হয়।
তবে হাতকড়া উদ্ধার হলেও পালিয়ে যাওয়া আসামি আবুবকর সিদ্দিককে (৩৫) কেন পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি, তা নিয়ে বন বিভাগের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই হাতকড়াটি পুলিশের কাছে ফেরত দিয়েছে বলে বন বিভাগ দাবি করেছে।
পালিয়ে যাওয়া ওই আসামির নাম আবুবকর সিদ্দিক। রাতের বেলায় বনের জমিতে ঘর তোলার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার হতেয়া রেঞ্জের কালিদাস বিট কর্মকর্তা শাহ আলম উপজেলার কামারপাড়া এলাকা থেকে আবুবকরকে আটক করে বন কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। রাতে কার্যালয়ের একটি ঘর থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় ওই আসামি পালিয়ে যান।
কালিদাস বিট কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামারপাড়া এলাকায় মো. বাচ্চু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বনের জমিতে রাতের বেলায় ঘর নির্মাণ করছিলেন। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চু মিয়ার ভাই আবুবকর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে বন কার্যালয়ে নিয়ে আসে। সেখানে রাতে হাতকড়া পরিয়ে একটি ঘরে আটক করে রাখা হয়। ভোরে আসামি হাতকড়া অবস্থায় পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আজ দুপুর ১২টার দিকে কালিদাস বিট কর্মকর্তা শাহ আলম বাদী হয়ে থানায় আসামি নিখোঁজের একটি জিডি করেন। জিডি করার তিন ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হাতকড়াটি উদ্ধার করলেও আসামিকে ছেড়ে দেন। পুলিশ বিকেলে হাতকড়াটি বন বিভাগের কাছে জমা দিলেও বন বিভাগ তা গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
কালিদাস বিট কর্মকর্তা শাহ আলম আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ আসামি ছাড়া ওই হাতকড়া আমরা গ্রহণ করিনি। পুলিশ হাতকড়া রেখে আসামিকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রাম থেকে হাতকড়াটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমরা উদ্ধার হওয়া ওই হাতকড়াটি বন বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছি।’
Leave a Reply