সখিপুর. প্রতিনিধি; •
টাঙ্গাইলের সখিপুরে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে যৌনহয়রানি অভিযোগে অভিযুক্ত ৬০নং হাতীবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকার সখিপুর পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়। আজ বুধবার (০২ নভেম্বর) সকালে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় । বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটিয়েছে । অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ সরকার হাতিবান্ধা টেকিপাড়া গ্রামের ক্ষিতীশ সরকারের ছেলে এবং তিনি হাতীবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন । এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জোছনা সরকার বুধবার বিকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকারের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম অভিযোগ পেযেছেন স্বীকার করে বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য স্বপন সরকার ও ণীপেন মজুমদার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সখিপুর উপজেলার হাতীবান্ধা এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী (১১) কে শ্লীলতাহানির করেছে বলে ভিকটিম অভিযোগ করেন। শ্লীলতাহানির ঘটনা কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য ওই ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষক হুমকি দেয়। পরে সোমবার (৩১ অক্টোবর) শ্লীলতাহানির বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। একটি কুচক্রী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসের ব্যবস্থা করছে বলে এলাকাবাসী জানায়। ভুক্তভোগী ভিকটিম বলেন, তিনদিন তাকে প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকার যৌন হয়রানি করেছেন এবং অন্যান্য মেয়েদের সাথেও একই আচরন করেছেন। এ কারনে ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকগনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানায়- সবাইকে ছুটি দিলেও একেক সময় একেক শিক্ষার্থী কে একা ডেকে সবার পরে যাইতে বলে পরে স্যার শরীরে হাত দেয় শরীর টিপে দেয় । অশ্লীল ভাষা বলে । আবার বলে আমার মোবাইল গান আছে আমার সামনেই নাচ করো আমি দেখি । এলাকাবাসী আরোও জানান – এই প্রধান শিক্ষক এর আগেও অন্য স্কুলে এই ধরনের খারাপ কাজ করার কারণে বদলি হয়ে এই স্কুলে এসেছে । আমাদের ছেলে মেয়ে স্কুলে পাঠাই যাতে করে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে । কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক যে কাজটি করেছে এটি মেনে নেওয়া যায় না , শিক্ষকের বিচার হওয়া দরকার । যাতে করে আর কোনো ছাত্রীর সাথে এই ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ না করেতে পারে । ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জোছনা রানী বলেন, ঘটনাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। •
সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ওই শিক্ষার্থীর চাচা বলাই বাদ্যকরের অভিযোগ পেয়ে ওই অভিযুক্ত শিক্ষক পৌরাঙ্গ সরকারকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply