বিশেষ প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বিদ্যুৎ বিভাগের জোনাল অফিস নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য নিয়মিত ওঠেপড়ে লেগেছে বিতর্কিত কিছু অসাধু মানুষজন। উপজেলা ভিত্তিক জোনাল বিদ্যুৎ অফিস নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে জেলা ও বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক। এ বিষয়টি নিয়ে কিছু অন্যায় আবদারকারীর ব্যক্তি আক্রোশ থেকে স্বনামধন্য কয়েকজন অফিসার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিজেকে অগোচরে রেখে অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সখিপুরের বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যক্রমের অভূতপূর্ব সাফল্যে কিছু এ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঈর্ষান্বিত হয়ে বিদ্যুৎ খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারা করছে। গত কয়েকদিনে বিদ্যুৎ অফিস নিয়ে আলোচনার সমালোচনার বিষয়টি সখিপুর পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ প্রতিবদেককে জানান, আমি পরপর কয়েকবার মেয়র থাকায় উপজেলার বিভিন্ন ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ নিয়ে নানা সমস্যার বিষয় জেনেছি,কিন্তু বর্তমান পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী সময় বিদ্যুৎ খাতের কোন অনিয়ম -দূর্নীতি হয়নি।আমি জেনেছি পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী যেকোনো সমস্যার ব্যাপারে প্রয়োজনে সরেজমিনে গিয়ে কোন অন্যায় আবদার ছাড়া সমাধানের চেষ্টা করে।লাইন দীনেশ চন্দ্র বলেন বর্তমান পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়মে ব্যাপারে একটু বেশি কড়া,তিনি তোষামোদ, সিন্ডিকেট ও অনৈতিক সুবিধার পাওয়ার পস্তাব এড়িয়ে চলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, একশ্রেণির দালাল ও দূর্নীতিবাজ লোকেরা দীর্ঘদিন নানা সুবিধে নিয়ে স্যারের নিয়মতান্ত্রিক বেড়াজালে আটকে যাওয়ায় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে সমালোচনা সৃষ্টি করে বিদ্যুৎখাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।তিনি আরও জানান, সখিপুরে টান্সফরমার চুরির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছিল। সখিপুরের পিডিবি নির্বাহী প্রকৌশলী নিজে তার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাত জেগে পাহারা বসিয়ে চোরচক্র ধরতে সক্ষম হয়েছে। অন্তর আহমেদ নামে একজন ঠিকাদারকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।ঠিকাদারদের প্রত্যেক কাজের গতি প্রকৌশলী গণ নিয়মিত মনিটরিং করে নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করেন। পিডিবি নির্বাহী প্রকৌশলী কোন ঠিকাদারকে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি।অনিয়মের অভিযোগে সখিপুর অফিস থেকে বদলি হয়ে যাওয়া সাবেক এক কর্মচারীর প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে এবং তার ইন্ধনে কুকর্মে লিপ্ত কিছু অসাধু ব্যক্তি। এমনও গুঞ্জন আছে শত চেষ্টা তদবির করে হলেও পুনরায় সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসে বদলি হয়ে আসবেন। যাকে বদলি করে নিজে বদলি হয়ে আসবেন তাকে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে উচ্চমান সহকারী জিয়ারত হোসেন বলেন,আমি এ নিয়ে খুব বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছি। সখিপুর পৌরসভা ২নং বাসিন্দা মাঈন সাথে দেখা হয় বিদ্যুৎ অফিসের গেটে, প্রতিবেদকের পরিচয় পাওয়ার পর জানান,আমার বিল ও মিটার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঘুরছিলাম কিছু খরচও করেছে এখন তাদের দেখাও মিলছে না।পরে আমি সরাসরি বড় স্যারের কাছে আসার পর তিনি লোক পাঠিয়ে দেখে আজকে ঠিক করে দিল।আমি খুব চিন্তায় ছিলাম। ওনি খুব ভালো মানুষ, এক টাকাও লাগেনি। এবিষয়ে সখিপুর পিডিবি নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার প্রতিবেদককে বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু লোক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে,আমি তাদের পাত্তা দেই না। হয়তো ব্যক্তি আক্রোশে বিদ্যুৎ অফিসের সমালোচনা সৃষ্টি করে বিদ্যুৎ খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করতে পারে। আমি অনড়, এ সংশ্লিষ্ট কাজে অন্যায় ও দূর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেব না।তিনি আরও জানান, বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
Leave a Reply