রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলারদাঁড়িয়াপুর গ্রামে হযরত শাহ্ সূফী ফালুচাঁন চিশতী (রহঃ) এর বার্ষিক ওরস মোবারক মাসব্যাপী জমে উঠেছে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্হান হতে লাখো ভক্ত ও দর্শকের পদচারণায় জমে উঠে এই মেলা।
২০০৩ সালে আকস্মিক বোমা হামলার কারণে মেলাটি অচলাবস্হা থাকার পর পূনরায় অসখ্য ভক্ত,মানতকারী ও দর্শকের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মেলাটি। বোমা বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত ও ১০ জন চোখ, হাত ও পা হারিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিল।
মেলা উৎযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়,গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতি বছর পৌষ মাসের শেষের দিকে শুরু হয়ে পুরো মাঘ মাস ভক্ত ও দর্শকের পদচারণায় উৎসব মূখর হয়ে থাকে এ মেলা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্হান হতে আমানতকারী তাদের মানতকৃত মোরগ,খাসী, গরু,সিরনীসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী নিয়ে নেচে গেয়ে ঢোল পিটিয়ে, “হেল ফাইলা,হেল ফাইলা, ফাইলা নাচে না আমি নাচি ”এই ধ্বনিতে মুখর করে তোলে। মাঘী পূর্ণিমার দিন বিভিন্ন স্হান হতে লক্ষ্যাধিক ভক্ত ও দর্শকের সমাগম ঘটে।
মেলা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, এ বছর প্রশাসনের অনুমতিক্রমে মেলা উৎযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দাঁড়িয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ার সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, গত বছরের ন্যায় এ বছরও মাস ব্যাপী মেলা উৎযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে আসা লাখো ভক্ত ও দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে মেলা উৎযাপন করতে পারে সেজন্য মেলা কমিটি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছেন।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওছি) রেজাউল করিম বলেন, মেলা চলাকালীন দিনগুলো নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশাকরছি এ বছরও মেলা সুষ্টভাবে উদযাপিত হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রকৌশলী ফারজানা আলম বলেন, মেলা নিয়ে এখনও কোন বিধি নিষেধ নেই। মেলায় অবৈধ কোন কার্য় কলাপ করলে বা বেআইনি কাজের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply