সখিপুর,প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের সখিপুরে বুধবার সন্ধ্যায় সখিপুর ডাকবাংলো মাঠে ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘ভোটের অধিকার হরণের’ প্রতিবাদে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভাঅনুষ্ঠিত হয়।
জনসভায় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা,সভাপতি মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জনসভায় সভাপতিত্বকরেন আল্ হাজ্ব আব্দুস সবুর খান,এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক,প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিক,মুনসুর আজাদ সিদ্দিকী,জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, এটিএম সালেক,বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু,বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ হালিম সরকার লাল, দুলাল মাস্টার প্রমুখ।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন ১৯৯৯ সালের১৫ই নভেম্বর যে ভোট ডাকাতি হয়েছিল ২০১৮ সালের নির্বাচন ১৯৯৯সালের ভোট ডাকাতি কে হার মানিয়েছে, সখিপুর যদি না থাকতো এত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ স্বাধীন নাও হতে পারত ! তিনি আরো বলেন আমার কাছে সখিপুরের,আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি সকলেই সমান,আমি সখিপুরের মানুষ, সখিপুরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই আমি কাউকে ছোট কাউকে বড় করে দেখতে চাইনা। তিনি শেখ হাসিনাকে আফা বলে বলেন-আপনার কথা বার্তায় আর একটু সংযমি হন। তিনি বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের একটু সম্মান করুন। আমিতো একজনই বীরউত্তম। আপনি আমার সাথে ভাল ব্যবহার করেন না। আমি মন্ত্রি এমপি হওয়ার জন্য কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করি নাই। মানুষ সুখে নাই। তবে আমি সুখে আছি,ভাল আছি। আমার কোন সমস্যা নাই। সাধারণ মানুষ আমাকে যে ভাল বাসে চাতেই আমি খুশি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এ সময় আরো বলেন,যাঁরা নির্বাচন কমিশনার হন, তাঁদের মেরুদণ্ড নাই, তাঁদের কোনো রকমের ব্যক্তিত্ব নাই। মানুষ হিসেবে একটা যে মর্যাদা থাকে এই কমিশনারদের তাও নাই। তাঁরা এখন ক্যামেরা ব্যবহার করে ঢাকা বসে ভোট চুরি দেখেন।
Leave a Reply