নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফুটবল খেলতে যাওয়ায় সহকারী শিক্ষক বেত্রাঘাত করে গুরুতর আহত করেছেন নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে। বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ায় ওই শিক্ষার্থী সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোঃ আঃ খালেক।সোমবার (২৭ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বানিয়ারছিট সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম শাকিব। সে উপজেলার বানিয়ারছিট গ্রামের আমির হোসেন টিপুর ছেলে। বেত্রাঘাতে আহত শাকিবের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তার চিকিৎসার জন্য সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সোমবার (২৭ জুন) হাসপাতালের বেডে শুয়ে শাকিব জানায়, টিফিনের প্রায় পাঁচ মিনিট বাকি আছে। এমন সময় আমার জুনিয়র কিছু শিক্ষার্থী বল খেলার জন্য ফুটবল হাতে নিয়ে মাঠে যায়,এমন সময় টিফিনের আগে আমি জুনিয়রদের বল খেলতে নিষেধ করি এবং বল এনে অফিসে জমা দিতে যাচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় আমার হাতে বল দেখে খালেক স্যার আমার দিকে তেড়ে এসে বেত দিয়ে একাধিক আঘাত করে। আমি বল খেলিনি বললে আরো ক্ষেপে যায় এবং আমার শরীরে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করতে থাকে। ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী একই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,আমি বারান্দায় ছিলাম, এমন সময় দেখলাম জুনিয়রদের নিকট থেকে ফুটবল নিয়ে শাকিব অফিসের দিকে আসছে। পরে খালেক স্যার গিয়ে আচমকা বেত দিয়ে পিটানো শুরু করেন। জানতে চাইলে এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আঃ খালেক মারার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন- টিফিন শুরু হওয়ার আগে কিছু শিক্ষার্থী বল খেলতে ছিলো। পরে শাকিবের কাছেই ফুটবল পেয়েছি আর শাসন করতে একটু করে বেত দিয়ে কয়েকটি টোকা দিয়েছি। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, শিক্ষার্থীর কাছে ফুটবল পাওয়া আর ফুটবল খেলার দায়ে এমন ভাবে বেত্রাঘাত করার ঘটনাটি দুঃখজনক।প্রতিষ্ঠান ও এলাকার স্বার্থে বিষয়টি আমারা বসে মীমাংসা করেছি। মাধ্যমিক একাডেমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মিল্টন জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply